পৌরসভার বরাদ্দকৃত দোকান উদ্ধার করতে গিয়ে দখলদারের হামলায় আহত-৬
আপডেট সময় :
২০২৫-০৭-৩০ ২০:১০:৪৯
পৌরসভার বরাদ্দকৃত দোকান উদ্ধার করতে গিয়ে দখলদারের হামলায় আহত-৬
ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলা সদরের জিয়া সুপার মার্কেট এর পিছনে কাঁচা বাজার মুড়ি মার্কেট এর ১৫ নং কক্ষ এর মূল মালিক নিজের দোকান ঘর উদ্ধার করতে গিয়ে কক্ষটি দখলে থাকা দখলদার জহিরুল ইসলাম দুলাল গংদের হামলায় ৪ নারীসহ আহত ৬। আহতরা ভোলা ২৫০ শষ্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল ১১ টায় মুড়ি মার্কেট এ হামলার ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মোঃ সবুজ অভিযোগ করে বলেন, আমার বোন নারগিস সুলতানা কে ভোলা পৌরসভা থেকে গত ৫/১২/২৩ ইং তারিখে পৌরসভার মুড়ি মার্কেট এর ১৫ নং কক্ষ ৬১৩ নং স্মারকে বরাদ্দ দেয়। ৫ তারিখে সরকার পতনের পরে বর্তমান পৌর প্রশাসক পূর্বের বরাদ্দের দলিল জমা নিয়ে নতুন করে ১৫ নং কক্ষটি আমার বোনকে বরাদ্দ দিয়ে দলিল দেন। যার দলিলের সিরিয়াল নং গ.খ ০৪১৪৫০৫ নং। উক্ত কক্ষের নামে ভোলা পৌরসভা কর্তৃক ট্রেড লাইসেন্স করা হয়। যার লাইসেন্স নং ০৩৬০৯-০০। সরকার পতনের পর জহিরুল ইসলাম দুলাল দলীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ১৫ নং কক্ষটি দখল করে নেয়। পৌরসভা কক্ষটি একাধিকবার উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে বাধা দিয়ে হয়রানি করে।
এক পর্যায়ে আমরা বাধ্য হয়ে সুষ্ঠ সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত আবেদন করি। তারই প্রেক্ষিতে গত ৫/৩/২৫ তারিখে পৌরসভা ২০০ নং স্মারকে তাদেরকে উপস্থিত থেকে সমাধানের জন্য নোটিশ জারি করে। তারা সেই নোটিশের কোন তোয়াক্কা না করে দোকানটি দখল করে রাখে। অবশেষে বাধ্য হয়ে আমরা আজকে আমাদের দোকানটি বুঝিয়ে পাওয়ার জন্য মুড়ি মার্কেট যাই। সেখানে যেয়ে আমরা চা খেতে বসলে জহিরুল ইসলাম দুলাল এর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমার সাথে থাকা আমার ফুফু, চাচি, বৃদ্ধ চাচা, আমার স্ত্রী এবং বোনকে তারা এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে।
অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম দুলাল বলেন, বিগত পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম নবী আলমগীর এই কক্ষটি আমাকে বরাদ্দ দেয়। তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমি নিয়মিত ভাড়া দিয়ে আসছি। তাহলে ঘরটি অন্য কাউকে কিভাবে তারা বরাদ্দ দেয়।
এ বিষয়ে ভোলার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শংকর তালুকদার জানান, হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জহিরুল ইসলাম দুলাল পক্ষ একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সবুজ গংদের চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স